ফিলিস্তিনের চলমান ঘটনাবলী সম্পর্কে ইরান দূতাবাসের প্রেস বিবৃতি
ফিলিস্তিনের গর্বিত জনগণ অদম্য সাহসিকতা ও আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হওয়া সত্বেও বিগত পঁচাত্তর বছরেও ন্যায়বিচার,স্বাধীনতা ও অধিকার ফিরে পায়নি, তবে তারা এখন হয়ে উঠেছে সংগ্রাম ও প্রতিরোধের প্রতীক। তারা ফিরে পেতে চায় তাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি। অনন্য প্রতিরোধ এবং অনুপম সংকল্পের মাধ্যমে তারা বিশ্বকে দেখাতে সক্ষম হয়েছে যে, কোন ক্রমেই তারা তাদের লক্ষ্য থেকে পিছপা হওয়ার পাত্র নয়।
দশকের পর দশক ধরে চলমান ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠির বর্ণবাদী ও আগ্রাসী কর্মকাণ্ড ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ফিলিস্তিনের সঙ্কট দীর্ঘ পঁচাত্তর বছর ঝুলিয়ে রাখায় এখন সেখানে উত্তেজনা ও সংকটের মাত্রা বেড়েছে। ইসরায়েল কর্তৃক গাজায় পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বন্ধ করা এ অঞ্চলের নিরীহ জনগণের ওপর আগ্রাসন, অবিচার ও নিপীড়নের একটি উদাহরণ মাত্র। এসব নিপীড়নমূলক ও নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘনই নয়, বরং মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতির লঙ্ঘন ও অবমাননাও বটে। ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠি কর্তৃক মানবাধিকারের অব্যাহত লঙ্ঘনের ফলে ফিলিস্তিনি জনগণের কষ্ট ও দুর্ভোগ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফিলিস্তিনি জনগণ যাতে তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পেতে পারে সেজন্য দখলদার হিসেবে আগ্রাসী শাসকদের থামাতে হবে।
নিরপরাধ মানুষের উপর গণহত্যা বন্ধ এবং আগ্রাসনের ধারাবাহিকতা রোধ করে ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাজ করার এখনই উপযুক্ত সময়।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সহানুভুতিশীল যে কোন দেশ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতা করতে সর্বদা প্রস্তুত। মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, ফিলিস্তিনি জাতির আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও তাদের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং আগ্রাসন ও নিপীড়নের অবসান ঘটিয়ে এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।